কিছুদিন
পর মনসা পুজা। ইতিমধ্যে সবার মধ্যে পুজার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তবে এই
মনসা পূজা চট্টগ্রামের বাইরে তেমন বিস্তার লাভ করেনি। চট্টগ্রামে সারা
শ্রাবণ মাস ধরে মনসার পুজা হয়, কিন্তু চট্টগ্রামের বাইরে "নাগপঞ্চমী" নামে
শুধু একদিন মা মনসার পুজা হয়। চাঁদ সওদাগরকে কেন্দ্র করে এই মনসা পুজার
কাহিনীটি বাংলা, বিহার, আসামের সর্বত্র জনপ্রিয়তা লাভ করে।
চাঁদ সওদাগর ছিলেন এক গোড়া শৈব। তিনি শৈবধর্মে প্রতিষ্ঠিত থেকে তিনি লৌকিক ধর্ম প্রচারের বিরুদ্ধে ছিলেন।
কে এই চাঁদ সওদাগর? তিনি কোথাকার লোক ছিলেন? ইতিহাসে তার কোন পরিচয় খুজে পাওয়া যায় কিনা?
তিব্বতি লেখক লামা তারানাথের বিবরণ অনুযায়ী চন্দ্র বংশীয় রাজারা চট্টগ্রাম অর্থাৎ দেয়াঙে রাজ্যের রাজধানী গড়ে তুলেন। সাগর উপকুলীয় এই দেয়াং শহরই ছিল চট্টগ্রামের আদি সমুদ্রবন্দর। দেয়াঙের বন্দর শহর অর্থাৎ আজকের কর্ণফুলী থানার বন্দর গ্রামে চাঁদ সওদাগরের দিঘী নামে একটি প্রাচীন দিঘী রয়েছে।। মনসা মঙ্গল কাব্য সেই চাঁদ সওদাগরের দিঘীর কথা উল্লেখ আছে।বন্দর গ্রামের উত্তরাংশে অবস্থিত বিশাল এই দিঘীর পশ্চিম পাড়ে প্রাচীন কালে একটি পাকা ঘাট ছিল।ঘাটটির অস্তিত্ব এখন না থাকলে ও সেখানে ইটের যে ভগ্নাংশ পাওয়া যায় তা হাজার বছরের পুরানো বলে প্রত্নতাত্ত্বিক দের অভিমত রয়েছে।
সেই চাঁদ সওদাগরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ী ছিল দেয়াঙের পাহাড়েই। সে দেয়াঙের পাহাড়ে বিমান বাহিনীর সিগনাল অফিস স্থাপন করতে গিয়ে প্রাচীন ইটের পাকা দেওয়ালের ভগ্নাংশের অস্তিত্ব সকলকে অবাক করে দেয়। এখানেই ছিল চাঁদ সওদাগরের বাড়ি। সেই পুরানো আমল থেকে দেয়াংবাসি পাহাড়টিকে চাঁদ সওদাগরের বাড়ি বলেই চিহ্নিত করে আসছে।সেই বাড়ির নিকটে হল চাঁপাতলী গ্রাম। যা পদ্মপুরাণে বর্ণিত "চম্পকনগর"। বর্তমান চাঁপাতলী চম্পকনগরের বিকৃত রূপ।
আরো প্রমাণ রয়েছে, বর্তমান খিলপাড়া গ্রাম ও বৈরাগ গ্রামের মাঝখানে একটা ছোট্ট বিল আছে। সেই বিলের মাঝে পদ্মপুরাণে বর্ণিত কানুকামারের পুকুর ছিল। যার অস্তিত্ব পঞ্চাশ দশকেও বিরাজমান ছিল। এই সেই কানুকামার যিনি চাঁদ সওদাগরের সাথে বেঈমানি করে বেহুলা লখিন্দরের বাসরঘরে ছিদ্র রাখেছিল। যার কারনে সাপের কামরে লখিন্দরের মৃত্যূ ঘটে।
বড়উঠান গ্রাম হল তার নিকটের আরো একটি গ্রাম। যে গ্রামে চাঁদ সওদাগরের স্ত্রী সনকার নামে একটি দিঘী রয়েছে। যা "সনকার দীঘি" নামে পরিচিত আছে।
চাঁদ সওদাগরের সাতটি নৌকা ছিল যা সপ্তডিঙ্গা নামে পরিচিত ছিল। তিনি তার সপ্তডিঙ্গা গুলে যে নদীতে নৌঙ্গর করতেন সে নদীর নাম চাঁদখালী নদী বা চাঁদখালী নামে আজো পরিচিত।
কিন্তু কালের বিবর্তনে সব ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। এই সব ঐতিহাসিক জায়গাগুলো সংরক্ষন এখন সময়ের দাবী হয়ে রয়েছে। প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি ও স্বদিচ্ছা।
চাঁদ সওদাগর ছিলেন এক গোড়া শৈব। তিনি শৈবধর্মে প্রতিষ্ঠিত থেকে তিনি লৌকিক ধর্ম প্রচারের বিরুদ্ধে ছিলেন।
কে এই চাঁদ সওদাগর? তিনি কোথাকার লোক ছিলেন? ইতিহাসে তার কোন পরিচয় খুজে পাওয়া যায় কিনা?
তিব্বতি লেখক লামা তারানাথের বিবরণ অনুযায়ী চন্দ্র বংশীয় রাজারা চট্টগ্রাম অর্থাৎ দেয়াঙে রাজ্যের রাজধানী গড়ে তুলেন। সাগর উপকুলীয় এই দেয়াং শহরই ছিল চট্টগ্রামের আদি সমুদ্রবন্দর। দেয়াঙের বন্দর শহর অর্থাৎ আজকের কর্ণফুলী থানার বন্দর গ্রামে চাঁদ সওদাগরের দিঘী নামে একটি প্রাচীন দিঘী রয়েছে।। মনসা মঙ্গল কাব্য সেই চাঁদ সওদাগরের দিঘীর কথা উল্লেখ আছে।বন্দর গ্রামের উত্তরাংশে অবস্থিত বিশাল এই দিঘীর পশ্চিম পাড়ে প্রাচীন কালে একটি পাকা ঘাট ছিল।ঘাটটির অস্তিত্ব এখন না থাকলে ও সেখানে ইটের যে ভগ্নাংশ পাওয়া যায় তা হাজার বছরের পুরানো বলে প্রত্নতাত্ত্বিক
সেই চাঁদ সওদাগরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ী ছিল দেয়াঙের পাহাড়েই। সে দেয়াঙের পাহাড়ে বিমান বাহিনীর সিগনাল অফিস স্থাপন করতে গিয়ে প্রাচীন ইটের পাকা দেওয়ালের ভগ্নাংশের অস্তিত্ব সকলকে অবাক করে দেয়। এখানেই ছিল চাঁদ সওদাগরের বাড়ি। সেই পুরানো আমল থেকে দেয়াংবাসি পাহাড়টিকে চাঁদ সওদাগরের বাড়ি বলেই চিহ্নিত করে আসছে।সেই বাড়ির নিকটে হল চাঁপাতলী গ্রাম। যা পদ্মপুরাণে বর্ণিত "চম্পকনগর"। বর্তমান চাঁপাতলী চম্পকনগরের বিকৃত রূপ।
আরো প্রমাণ রয়েছে, বর্তমান খিলপাড়া গ্রাম ও বৈরাগ গ্রামের মাঝখানে একটা ছোট্ট বিল আছে। সেই বিলের মাঝে পদ্মপুরাণে বর্ণিত কানুকামারের পুকুর ছিল। যার অস্তিত্ব পঞ্চাশ দশকেও বিরাজমান ছিল। এই সেই কানুকামার যিনি চাঁদ সওদাগরের সাথে বেঈমানি করে বেহুলা লখিন্দরের বাসরঘরে ছিদ্র রাখেছিল। যার কারনে সাপের কামরে লখিন্দরের মৃত্যূ ঘটে।
বড়উঠান গ্রাম হল তার নিকটের আরো একটি গ্রাম। যে গ্রামে চাঁদ সওদাগরের স্ত্রী সনকার নামে একটি দিঘী রয়েছে। যা "সনকার দীঘি" নামে পরিচিত আছে।
চাঁদ সওদাগরের সাতটি নৌকা ছিল যা সপ্তডিঙ্গা নামে পরিচিত ছিল। তিনি তার সপ্তডিঙ্গা গুলে যে নদীতে নৌঙ্গর করতেন সে নদীর নাম চাঁদখালী নদী বা চাঁদখালী নামে আজো পরিচিত।
কিন্তু কালের বিবর্তনে সব ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। এই সব ঐতিহাসিক জায়গাগুলো সংরক্ষন এখন সময়ের দাবী হয়ে রয়েছে। প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি ও স্বদিচ্ছা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন