দিনটি ছিল ১২ জানুয়ারি, ১৯৩৪ সাল। চট্টগ্রাম জেলে মাস্টারদার ফাঁসি
কার্যকর করা হয়। কিন্তু সেদিন মাস্টারদার সাথে আরও একজনের ফাঁসি কার্যকর
করা হয়, তিনি ছিলেন তারকেশ্বর দস্তিদার।
তার জন্ম ১৯০৯ সালে। বাবার নাম চন্দ্রমোহন দস্তিদার। মায়ের নাম প্রমিলা। বাড়ি সরোয়াতলী গ্রাম। থানা বোয়ালখালী। জেলা চট্টগ্রাম। তার ডাক নাম ছিল ফুটু।
সরোয়াতলী স্কুলে পড়ার সময় তিনি বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষিত হন। সরোয়াতলী গ্রামে বীণাপাণি লাইব্রেরী ও একটি ব্যায়ামাগার স্থাপন করেন। গ্রামের স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশান পরীক্ষায় পাশ করে চট্টগ্রাম শহরের গভর্নমেন্ট কলেজে আই এস সি পড়ার জন্য ভর্তি হলে তার বিপ্লবী কাজের পরিধি আরো বেড়ে যায়।
তার জন্ম ১৯০৯ সালে। বাবার নাম চন্দ্রমোহন দস্তিদার। মায়ের নাম প্রমিলা। বাড়ি সরোয়াতলী গ্রাম। থানা বোয়ালখালী। জেলা চট্টগ্রাম। তার ডাক নাম ছিল ফুটু।
সরোয়াতলী স্কুলে পড়ার সময় তিনি বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষিত হন। সরোয়াতলী গ্রামে বীণাপাণি লাইব্রেরী ও একটি ব্যায়ামাগার স্থাপন করেন। গ্রামের স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশান পরীক্ষায় পাশ করে চট্টগ্রাম শহরের গভর্নমেন্ট কলেজে আই এস সি পড়ার জন্য ভর্তি হলে তার বিপ্লবী কাজের পরিধি আরো বেড়ে যায়।
মাস্টারদা গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারকেশ্বর চট্টগ্রাম বিপ্লবী সংগঠনের
সম্পূর্ণ দ্বায়িত্বে ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলের গহিরা গ্রামের যুদ্ধতে
তারকেশ্বর, কল্পনা দত্ত ও সুধীন দাশ বন্দী হন। বিপ্লবী মনোরঞ্জন দাশগুপ্ত ও
আশ্রয়দাতা পূর্ণ তালুকদার এই যুদ্ধে নিহত হন।
বিচারে মাস্টারদা ও তারকেশ্বরের ফাঁসীর আদেশ হয়। হাইকোর্টের আপিলেও তারা দুজনের ফাঁসীর রায় বহাল থাকে।
চট্টগ্রাম জেল থেকে ফাঁসীর আগে তারকেশ্বর তার বৌদিকে যে চিঠিটা লিখেছিলেন-
" বৌদি, তোমাদের স্নেহ ভালবাসা থেকে চিরদিনের মত চলে যাচ্ছি। মাকে বলো, আমার যে টাইফয়েড হয়েছিল, তখনও তো মারা যেতে পারতাম। কত লোক যে প্রতিদিন নানাভাবে মারা যাচ্ছে! আমার মৃত্যূ তা থেকে অনেক শ্রেয়। মনকে প্রবোধ দিও।"
সূর্য সেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদারকে ব্রিটিশ সেনারা নির্মম ভাবে হাতুড়ী পেটা করল প্রথমে । হাতুড়ীঘাতে মুখমণ্ডল থেঁতলে গেল তাদের , ভেঙ্গে গেল সবকটা দাঁত। হাতের নখ উপড়ে তুলে ফেলা হল একের পর এক। হাঁটু থেকে শুরু করে সমগ্র শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে চলল নির্বিচারে আঘাতের পর আঘাত । শরীরের সকল হাড় ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল। এক পর্যায়ে তারা নিস্তেজ হয়ে জ্ঞান হারালেন। তারপর মৃতপ্রায় শরীর দুটিকে টানতে টানতে , তাদের গলায় বেঁধে দেয়া হয় হল ফাঁসীর দড়ি । মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফাঁসীর মঞ্চে ঝুলে পড়লেন সূর্য সেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদার।
লাশ দুটো জেলখানা থেকে ট্রাকে করে ৪ নম্বর স্টিমার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হল। তারপর তাদেরকে ব্রিটিশ ক্রুজার “The Renown” এ তুলে, তাদের বুকে বেঁধে দেয়া হল লোহার বড় বড় টুকরো। জাহাজ চলে আসল বঙ্গোপসাগর আর ভারত মহাসাগর সংলগ্ন কোন এক গভীর অভ্যন্তরে। অতল গভীর জলে নেমে গেলেন, সূর্যসেন ও তারেকশ্বর দস্তিদার।
বিচারে মাস্টারদা ও তারকেশ্বরের ফাঁসীর আদেশ হয়। হাইকোর্টের আপিলেও তারা দুজনের ফাঁসীর রায় বহাল থাকে।
চট্টগ্রাম জেল থেকে ফাঁসীর আগে তারকেশ্বর তার বৌদিকে যে চিঠিটা লিখেছিলেন-
" বৌদি, তোমাদের স্নেহ ভালবাসা থেকে চিরদিনের মত চলে যাচ্ছি। মাকে বলো, আমার যে টাইফয়েড হয়েছিল, তখনও তো মারা যেতে পারতাম। কত লোক যে প্রতিদিন নানাভাবে মারা যাচ্ছে! আমার মৃত্যূ তা থেকে অনেক শ্রেয়। মনকে প্রবোধ দিও।"
সূর্য সেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদারকে ব্রিটিশ সেনারা নির্মম ভাবে হাতুড়ী পেটা করল প্রথমে । হাতুড়ীঘাতে মুখমণ্ডল থেঁতলে গেল তাদের , ভেঙ্গে গেল সবকটা দাঁত। হাতের নখ উপড়ে তুলে ফেলা হল একের পর এক। হাঁটু থেকে শুরু করে সমগ্র শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে চলল নির্বিচারে আঘাতের পর আঘাত । শরীরের সকল হাড় ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল। এক পর্যায়ে তারা নিস্তেজ হয়ে জ্ঞান হারালেন। তারপর মৃতপ্রায় শরীর দুটিকে টানতে টানতে , তাদের গলায় বেঁধে দেয়া হয় হল ফাঁসীর দড়ি । মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফাঁসীর মঞ্চে ঝুলে পড়লেন সূর্য সেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদার।
লাশ দুটো জেলখানা থেকে ট্রাকে করে ৪ নম্বর স্টিমার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হল। তারপর তাদেরকে ব্রিটিশ ক্রুজার “The Renown” এ তুলে, তাদের বুকে বেঁধে দেয়া হল লোহার বড় বড় টুকরো। জাহাজ চলে আসল বঙ্গোপসাগর আর ভারত মহাসাগর সংলগ্ন কোন এক গভীর অভ্যন্তরে। অতল গভীর জলে নেমে গেলেন, সূর্যসেন ও তারেকশ্বর দস্তিদার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন