সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

ফেসবুক ফেসবুক খেলার ফলাফল: সুধাংশু জেলে যাওয়া অতপর সুধাংশুর দেশ ছেড়ে পালানো

আমাদের এই উপমহাদেশের জনসংখ্যারর ধর্মীয় বিভাজনে আমরা প্রধান তিনটি সম্প্রদায় হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ দেখতে পাই। দেশে দেশে তাদের বৈশিষ্ট্য হল এক দেশে যারা সংখ্যাগুরু অন্য দেশে তারা সংখ্যালঘু। ফলে এখানে ধর্মীয় উত্তেজনা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি স্পর্শকাতর ও পরস্পর প্রভাবক। রাষ্ট্রীয় ভাবে এসব বিষয়কে সঠিক ভাবে লাগাম দিয়ে চালাতে না পারলে এসকল বিষয় নিউটনের সূত্রানুসারে তাদের ক্রিয়ার প্রতিটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

এদেশের প্রতিটি সরকার , সে সরকার হোক গণতন্ত্রী বা স্বৈরতন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধপন্থী বা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এ দেশের সংখ্যালঘু জনগণের সাথে এক চরম প্রহসনমূলক ও প্রবঞ্চনামূলক নির্মম আচরণ করে আসছে। ১৯৪৭ থেকে এদেশে যতগুলো সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস হয়েছে সবগুলো হয়েছে একপক্ষীয়। এদেশের ধর্মীয় সংখ্যালুঘুরা কখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
একসময় এদেশে নির্বাচনের সময় নির্যাতন হত। ভোটের আগে ভোট দেওয়ার জন্য একদল মেরে যায়। ভোট না দেওয়ার জন্য আরেক দল মেরে যায়।

ভোটের পর একদল এসে মারে যাই। তারপর আরেকদল এসে মারে। এদেশের সংখ্যালঘুরা যেন পিংপং বল।
তাদের নিয়ে খেলতে খেলতে তাদের খেলার নেশা ধরে গেছে। তাই এখন ফেসবুক ফেসবুক খেলা খেলে।
এ খেলার নিয়ম খুব সুন্দর ও সহজ-
কোন রেফারী নেয়।
আপনি চাইলেই যত ইচ্ছা তত ফাউল করতে পারবেন।
খেলা শেষ। রেফারী আসবে। এসে সংখ্যালঘুদের বলবে তোরা ফাউল করেছিস।
দেখিয়ে দিল লাল কার্ড।
মাঠের বাইরে চলে গেল তারা।
একসময় তারা দেশ ছেড়ে চলে যাই।

আসুন দেখি এই খেলা কিভাবে খেলতে হয়।
১। প্রথমে একজন ব্যাক্তি খুঁজে নিন। যার কাছে কিছু সম্পদ, কিছু জায়গা, ঘরে সুন্দর মেয়ে আছে।
২। তার নামে এক ফেইক ফেসবুক একাউন্ট খুলুন।
৩। এবার ধর্ম অবমাননার পোস্ট দিন।
৪। তা প্রচার করে সাধারন মানুষকে উস্কে দিন।
৫। তারপর কোন এক শুক্রবারে তার বাড়িতে হামলা চালান।
৬। শুধু তার বাড়ি নয়। আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতে ও আপনি চাইলে আগুন দিতে পারবেন। লুটপাটও করতে পারবেন।
খেলা শেষ।।।।।।।

ফলাফল: সুধাংশু জেলে যাবে। তারপর সুধাংশু দেশ ছেড়ে পালাবে।

কিন্তু এই রকম একটা পরিস্থিতিতে আজ দেশের সুস্থ, বিবেকবান, মানবিকবোধসম্পন্ন, প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় উদ্দিপ্ত জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে হলে সংবিধান, রাষ্ট্রনীতি, প্রশাসন ও জনগনকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন