সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

পৃথক নির্বাচন ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু অস্তিত্ব

 পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশেই নির্বাচন হয়। নির্বাচনের সময় সবার মাঝে থাকে আনন্দ। কারন তারা ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্ধারন করবে। যিনি হবেন তাদের রক্ষাকর্তা । বাংলাদেশেও নির্বাচন হয় । কিন্তু এদেশে একটি সম্প্রদায়ের জন্য এই নির্বাচন আসে আতঙ্ক হয়ে। সে সম্প্রদায়টি হল এদেশের সংখ্যলঘু সম্প্রদায়। কারন ভোটের সময় সংখ্যলঘু পাড়াতে নেতারা ভোট চাইতে যাই না । তারা যাই হুমকি দিতে। বাস্তবেও তাই হয়। নির্বাচনের পর আওয়ামিলীগ জিতলে বিএনপি গিয়ে তোলপাড় করে। আর বিএনপি জিতলে আওয়ামিলীগ গিয়ে তোলপাড় করে। এর একটায় কারন হল মনস্থাত্বিক বিষয়।

আওয়ামিলীগ মনে করে, এদেশের সংখ্যলঘুরা হল আমার ঘরের বউ ওরা কেন আমাদের ভোট দিল না। মার শালাদের….
আর বিএনপি মরে করে সংখ্যলঘুরা হল আমার সতিন। তাদের তাড়াতে পারলে আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারব। দেশ থেকে তারা শালাদের…

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার জন্য সরকার ও বিরোধী দল পরস্পরকে দায়ী করছে৷ তবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের৷

সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হবে, তাঁদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হবে আর সরকার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে – তা হয় না৷ সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে৷ অপরাধীদের প্রতিরোধ এবং আক্রমণ বন্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে৷

তবে এইটা ঠিক যে আওয়ামিলীগের কাছে আমাদের প্রত্যাশাটিা বেশী কারন তারা হল অসাম্প্রদায়ীক দল।
কিন্তু বার বার এদেশের সংখ্যালুঘুদের নিরাপত্তা দিতে সরকার র্ব্যথ হচ্ছে।

তাই আমি মনে করি এদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষার একমাত্র পথ হয় পৃথক নির্বাচর ব্যাবস্থা। তখন আর আওয়ামিলীগ বা বিএনপি কেউ ভোট চাইতে যাবেনা। সংখ্যালঘুরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে সংসদে পাঠাবে। তারা সরকার গঠন করবেনা ঠিকই কিন্তু কোয়ালিশন সরকার গঠন করে সংসদে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করবে।

বি.দ্র: ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী ১৫ মাসে সহিংস ঘটনা ঘটেছে ১৮ হাজারেরও বেশি। ধর্ষণ, লুটপাপ, সংখ্যালঘুদেও উপর নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ অন্য অপরাধ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন