সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

রোহিঙ্গা ইন বাংলাদেশ ও আলিমুদ্দিনের পুরস্কার

ছোট্ট একটা গ্রাম। সে গ্রামের এক সুখী কৃষক ছিল আলিমুদ্দিন। তার একটি সুন্দর বাগান ছিল। সেই বাগানে ছিল বারমাসি এক আমগাছ। সারা বছর আম ধরত গাছটিতে। সে গাছের নিয়মিত পরিচর্যা করত। সেদিন আলমুদ্দিন পত্রিকায় পড়ল জাতিসংঘ সেরা বাগানের উপর পুরস্কার দেবে। আর নাকি তালিকায় তার নাম ও রয়েছে। আলিমুদ্দিনের আর ঘুম হয় না। উঠে পরে লেগেছে তার বাগান নিয়ে। তার পাশে বাগান ছিল সলিমুদ্দিনের। সে কিন্তু আগে জাতিসংঘ থেকে পুরস্কার পেয়েছিল। তার ও একটা বাগান আছে।
একদিন সলিমুদ্দিন তার বাগান পরিষ্কার করছিল। বাগানের যত আগাছা-পরগাছা ছিল সব উপড়ে ফেলে দিচ্ছিল। সলিমুদ্দিন অভিজ্ঞ কৃষক। সে জানত কোনটা আগাছা। তাই সে তার বাগান সুন্দর ও টিকিয়ে রাখার জন্য তার মালিদের দিয়ে সব আগাছা ফেলে দিল।
আগাছা গুলোর আর্তচিৎকারে আকাশ বাতাস কম্পিত হতে লাগল।

এদিকে আলিমুদ্দিন মনে মনে খুশি হল। সে ভাবল, যদি এই গাছ (সে আগাছা চিনতোনা) গুলি আমার বাগানে লাগালে আমার বাগান সুন্দর হবে। আর আমি পুরস্কার পাব।
অবশেষে আলিমুদ্দিন সব আগাছা- পরগাছা গুলো নিয়ে তার সেই সাধের আম গাছের পাশে লাগাল। যদি খাবার কম হয়। গাছ মারা যাই তাই তার ছেলে মেয়ে স্ত্রী সবাই পালাকরে আগাছাতে পানি দিতে লাগল। প্রতিবেশি আনেকে তাকে নিষেধ করেছিল বাগানে আগাছা নালাগাতে। সে কারো কথা শুনল না। এদিকে আমগাছ ও ভাবল পরগাছা ও গাছ। আমার স্বজাতি। আশ্রয় দিয় আমার শরীরে। আমারতো অনেক ডালপালা। কিচ্ছু হবে না।
কিছুদিন পর...........

আগাছা গুলো বড় হয়ে আমগাছটাকে মেরে ফেলল। তার সুন্দর বাগান নষ্ট হয়ে গেল।

আলিমুদ্দিন পুরস্কার ও পেলনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন