সেই দিন কি বার ছিল রাজুর মনে নেই। ঘুম ভেঙে গেছে একটু আগেই। বিছানা থেকে উঠতে মন চাইছে না। তার পরেও ঘুম থেকে উঠে একটু বের হল। হাঁটাহাঁটি করে বাসায় ফিরল রাজু। ছাদে গেল তার বাগান দেখতে। প্রতিদিন সে ছাদে উঠে তার নিজ হাতে গড়া বাগান দেখতে। তার বাগানের প্রতিটি গাছকে রাজু তার নিজের সন্তানের মত ভালবাসে। কোন গাছ মারা গেলে রাজুর মন খারাপ হয়ে যাই।
সেদিন ও রাজু ছাদে গিয়ে বাগানের ফোটা ফুলগুলো দেখতে লাগল আর গাছগুলোতে পানি দিল। তার পর নিচে নেমে হাত-মুখ ধূয়ে তার রুমে গেল। মাকে খাবার দিতে বলে, চোখ বুলাতে লাগল তার বুকশেলফে। হঠাৎ তার মন কেন যেন পরিবর্তন হয়ে গেল। মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেইসবুকে ঢুকল। ফেইসবুক ব্যাবহারের ক্ষেত্রে রাজু খুব চুজি। যাকে তাকে এড করেনা, আর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ও পাঠাই না। সেদিন তার চ্যাট বক্সে এসে অনলাইনে পেল টুম্পাকে। অবাক হল রাজু।
এই আবার কে?
তাকে তো রাজু চিনছেনা। মেয়েটির ওয়ালে প্রবেশ করল রাজু।
মেয়েটির নাম টুম্পা, একটি কলেজে লেখাপড়া করে সে। সেদিন কেন জানি মেয়েটির প্রতিটি পোষ্ট ও ককমেন্টস পড়তে লাগল। একটা বিষয় লক্ষ্য করল রাজু মেয়েটির কমেন্টস দেখে। সোজাসাফটা কথাবার্তা। বন্ধুদের সাথে তার দুষ্টুমি ভরা কমেন্টস গুলো। ভালই লাগল রাজুর।
কয়েকদিন কেটে গেল। রাজু ব্যস্ত ছেলে। চাকুরী, পড়াশুনা, আড্ডা সব মিলিয়ে ব্যস্ততম জীবন রাজুর।
একদিন রাজু মেয়েটিকে আবার ফেলো অনলাইনে।
রাজু- হাই।
টুম্পা- কে?
রাজু- আপনাকে টিক চিনতে পারছিনা, আপনি কি আমাই চেনেন?
টুম্পা- না
রাজু- কি করেন?
টুম্পা- আমার প্রোফাইল দেখেন
রাজু- হুম
সেদিন আর কথা হয়নি রাজুর টুম্পার সাথে। ব্যস্ততায় কেটে যাচ্ছে রাজুর জীবন।
ঈদের ছুটিতে রাজু তার পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল কুয়াকাটা সমূদ্র দেখতে। ভালোই কাটছিল তার সময়। এমনিতে রাজু ভ্রমণবিলাস তার উপর সাথে তার পরিবার।
সেদিন হোটেল রুমে বসেছিল রাজু। হোটেলের বেলকুনি থেকে সমূদ্র দেখছিল আর ফেইসবুকিং। সেদিন রাজু আবার পেল টুম্পাকে। অনেক্ষন চলল তাদের কথাবার্তা।
রাজু খেয়াল করল মেয়েটি একটু ডিফারেন্ট। মেয়েটির সাথে বুন্ধুত্ব করতে হবে।
পরদিন সকাল হতে না হতে শুরূ হয়ে গেল দুজনের কথাবার্তা। টুম্পার সাথে যত কথা বলছে, তার সাথে কথা বলার আগ্রহ রাজুর বেড়েই যাচ্ছে।
শুরু হয়ে তাদের একে অপরকে জানার প্রতিযোগিতা।
টুম্পাকে যত জানছে, তার প্রতি রাজুর টান বেড়েই যাচ্ছে। একটা শ্রদ্ধাবোধ জন্মাচ্ছে টুম্পার প্রতি।
টুম্পা জীবনটা অন্য সাধারন মেয়ের মত নয়। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা, সকালে কোচিং ক্লাস নেওয়া, তারপর স্কুলে ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়ানো। দুপুরের তপ্তরোদে নিজেকে ঝলসিয়ে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরা। ঘরে ফিরেই দুপুরের খাবার খেয়ে একটুকু বিশ্রাম। তারপর শুরু হয় আবার টিউশন। রাত ৯টা পর্যন্ত চলে তার এই সংগ্রাম।
এখন রাজু কেন জানি, কিছুক্ষণ পর পর মোবাইল দেখছে। কারন যদি টুম্পা তাকে কোন মেসেজ করে। আর তার উত্তর দিতে দেরী হলে যদি টুম্পা অফ লাইনে চলে যাই।
সেদিন টুম্পা রাজুকে বলে, কাল থকে আপনার সাথে বেশী কথা বলতে পারবো না।
রাজু- কেন?
টুম্পা- কাল থেকে আমার ছুটি শেষ। কোচিং, স্কুল, কলেজ খুব ব্যস্ত হয়ে যাব। ফেইসবুকে তেমন আসতে পারবোনা।
রাজুর মন খারাপ হয়ে গেল। ভাবল, আরে আমিওতো অফিস খুললে ব্যস্ত হয়ে যাব। রাত ছাড়া টুম্পার সাথে কথা বলার সুযোগ ও হবে না।
তারপর দুইজন দু'জনের মোবাইল নং দিল একে অন্যকে। ইচ্ছে ফেইসবুকে না থাকলে কি হবে, ফোনেতো যোগাযোগ থাকবে।
আজ তিন দিন হল ওরা একে অন্যের মোবাইল নংং নিয়েছে কিন্তু কেউ কাউকে ফোন করেনি।
তবে রাজু বেশ কয়েকবার টুম্পার মোবাইল নং তুলে কল দিতে গিয়ে থেমে গেছে, পাছে টুম্পা যদি তাকে খারাপ মনে করে।
রাজু টুম্পাকে দেখেনি। তার খুব ইচ্ছা টুম্পাকে একবার দেখার। সে বলেছেও টুম্পাকে তার ছবি দেওয়ার জন্য। টুম্পা এখনো তাকে দেয়নি।
রাজু ভাবছে, টুম্পার মনে হয়তো সে বিশ্বাস টুকু আনতে পারে নিনি।
ছবি না দিলে বা কি, রাজু তার মনের মমাঝে টুম্পার এক রুপ কল্পনা করে রেখেছে-
"দীর্ঘ দেহ, বর্ণ হালকা শ্যামলা, টানাটানা চোখের ভেতর স্নিগ্ধতা, প্রশস্ত ললাটের পিছনে ঝুলে পড়া চুল, চিবুক ঘিরে সুকুমার মুখের ডৌলটি একটি অনতিপক্ব ফলের মতো রমণীয়। সবমিলিয়ে একেবারে নায়িকাদের মতো সুন্দর তা নয়, কিন্তু একটা অভূতপূর্ব জ্যোতিতে ভাস্বর টুম্পা।" (চলবে)
রাজু- হাই।
টুম্পা- কে?
রাজু- আপনাকে টিক চিনতে পারছিনা, আপনি কি আমাই চেনেন?
টুম্পা- না
রাজু- কি করেন?
টুম্পা- আমার প্রোফাইল দেখেন
রাজু- হুম
সেদিন আর কথা হয়নি রাজুর টুম্পার সাথে। ব্যস্ততায় কেটে যাচ্ছে রাজুর জীবন।
ঈদের ছুটিতে রাজু তার পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল কুয়াকাটা সমূদ্র দেখতে। ভালোই কাটছিল তার সময়। এমনিতে রাজু ভ্রমণবিলাস তার উপর সাথে তার পরিবার।
সেদিন হোটেল রুমে বসেছিল রাজু। হোটেলের বেলকুনি থেকে সমূদ্র দেখছিল আর ফেইসবুকিং। সেদিন রাজু আবার পেল টুম্পাকে। অনেক্ষন চলল তাদের কথাবার্তা।
রাজু খেয়াল করল মেয়েটি একটু ডিফারেন্ট। মেয়েটির সাথে বুন্ধুত্ব করতে হবে।
পরদিন সকাল হতে না হতে শুরূ হয়ে গেল দুজনের কথাবার্তা। টুম্পার সাথে যত কথা বলছে, তার সাথে কথা বলার আগ্রহ রাজুর বেড়েই যাচ্ছে।
শুরু হয়ে তাদের একে অপরকে জানার প্রতিযোগিতা।
টুম্পাকে যত জানছে, তার প্রতি রাজুর টান বেড়েই যাচ্ছে। একটা শ্রদ্ধাবোধ জন্মাচ্ছে টুম্পার প্রতি।
টুম্পা জীবনটা অন্য সাধারন মেয়ের মত নয়। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা, সকালে কোচিং ক্লাস নেওয়া, তারপর স্কুলে ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়ানো। দুপুরের তপ্তরোদে নিজেকে ঝলসিয়ে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরা। ঘরে ফিরেই দুপুরের খাবার খেয়ে একটুকু বিশ্রাম। তারপর শুরু হয় আবার টিউশন। রাত ৯টা পর্যন্ত চলে তার এই সংগ্রাম।
এখন রাজু কেন জানি, কিছুক্ষণ পর পর মোবাইল দেখছে। কারন যদি টুম্পা তাকে কোন মেসেজ করে। আর তার উত্তর দিতে দেরী হলে যদি টুম্পা অফ লাইনে চলে যাই।
সেদিন টুম্পা রাজুকে বলে, কাল থকে আপনার সাথে বেশী কথা বলতে পারবো না।
রাজু- কেন?
টুম্পা- কাল থেকে আমার ছুটি শেষ। কোচিং, স্কুল, কলেজ খুব ব্যস্ত হয়ে যাব। ফেইসবুকে তেমন আসতে পারবোনা।
রাজুর মন খারাপ হয়ে গেল। ভাবল, আরে আমিওতো অফিস খুললে ব্যস্ত হয়ে যাব। রাত ছাড়া টুম্পার সাথে কথা বলার সুযোগ ও হবে না।
তারপর দুইজন দু'জনের মোবাইল নং দিল একে অন্যকে। ইচ্ছে ফেইসবুকে না থাকলে কি হবে, ফোনেতো যোগাযোগ থাকবে।
আজ তিন দিন হল ওরা একে অন্যের মোবাইল নংং নিয়েছে কিন্তু কেউ কাউকে ফোন করেনি।
তবে রাজু বেশ কয়েকবার টুম্পার মোবাইল নং তুলে কল দিতে গিয়ে থেমে গেছে, পাছে টুম্পা যদি তাকে খারাপ মনে করে।
রাজু টুম্পাকে দেখেনি। তার খুব ইচ্ছা টুম্পাকে একবার দেখার। সে বলেছেও টুম্পাকে তার ছবি দেওয়ার জন্য। টুম্পা এখনো তাকে দেয়নি।
রাজু ভাবছে, টুম্পার মনে হয়তো সে বিশ্বাস টুকু আনতে পারে নিনি।
ছবি না দিলে বা কি, রাজু তার মনের মমাঝে টুম্পার এক রুপ কল্পনা করে রেখেছে-
"দীর্ঘ দেহ, বর্ণ হালকা শ্যামলা, টানাটানা চোখের ভেতর স্নিগ্ধতা, প্রশস্ত ললাটের পিছনে ঝুলে পড়া চুল, চিবুক ঘিরে সুকুমার মুখের ডৌলটি একটি অনতিপক্ব ফলের মতো রমণীয়। সবমিলিয়ে একেবারে নায়িকাদের মতো সুন্দর তা নয়, কিন্তু একটা অভূতপূর্ব জ্যোতিতে ভাস্বর টুম্পা।" (চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন