সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮

জয় হোক মানবতার......

এদেশের সংবিধানে লিখা আছে, "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান।"
বাহ্ কি চমৎকার কথা। শুনতে বড়ই ভাল লাগে।
কিন্তু এটাই সত্য যে, একদিকে এসব কথাগুলো বইয়ের কাল হরফে শোভা পাই, আর একদিকে বছর বছর ধরে আদিবাসী ও সংখ্যালঘু মানুষগুলোর জীবনের দুঃখকষ্ট চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। অনুভূতির আগুনে পোড়া ধংসস্তুপের পাশে দাঁড়ানো চোখ ছলছল ও ক্রন্দনরত ভয়ার্ত সংখ্যালঘু নারীদের এসব সংবিধানের কথাগুলো পড়েশুনানো নিয়তির পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয় বইকি। এদেশের সংখ্যালঘুদের জীবনে এসব কথাগুলোর বাস্তব প্রতিফলন নেয়।
যে সকল তীব্র অনুভূতিজাত দুর্বৃত্তরা আমাদের বাড়িঘর, মন্দির পুড়ছে, তারা সজ্ঞানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্তিত্বের মূলে আগুন দিচ্ছে।
পুড়ে যাওয়া বাড়ি, মন্দির গুলো শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের নয়, বাংলাদেশেরই প্রতিচ্ছবি। আগুনে পোড়া এইবাড়িগুলো হয়তোবা নতুন করে বানানো সম্ভব হবে, কিন্তু এসব বাড়িগুলো পুড়ে এদেশের সংখ্যালঘুদের তথা বাংলাদেশের সমাজ ও রাস্ট্রের বুকে যে ক্ষত তৈরী হয়েছে তার আদো নিরাময় সম্ভব হবে কিনা তা শুধু ঈশ্বর জানে।
এই জ্বালানো পোড়ানোর সংস্কৃতি নতুন নয়। তাই আমরা এসবের সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই রংপুরের ঘটনার পর মনে হল।
যাক বাঁচা গেল মাত্র ৮-১০ বাড়ীই তো পুড়ল। বেশি পুড়েনি। কারন তাদের যে অনুভূতির তেজ। সে তেজে যে পুরো গ্রাম যে পোড়ায়নি সেটা তাদের মহানুভবতা।
আমার বোনতো এবার রক্ষা পেল। কারন প্রতিবারতো তাদের কুদৃষ্টি আমার বোনদের উপর পরে। দু-চারজনকে ধর্ষণ না করলে তাদের মন ভরে না।
এতকিছুর পরেও আপনাদের কিছু বলবনা।
নিভৃতে কাঁদব.........
দেশ ছাড়ব..........
আপনাদের জায়গা করে দেব..........
থাকুন আপনারা ভাল থাকুন.....
সুখে থাকুন...........
শান্তিতে থাকুন......
তার পরও একজন বাঙ্গালী হিসেবে বলব.....
এ ভীষণ লজ্জা আমাদের জন্য; বাংলাদেশের শুভবুদ্ধির মানুষের জন্য।
আগুন নিয়ে এমন অনেক খেলায় আমরা পুড়েছি বারবার।
জটিল ও কুটিল হচ্ছে আমাদের সমাজ।
সব ধরনের কুৎসিত নোংরা খেলা বন্ধ হোক।
বন্ধ হোক আগুন নিয়ে খেলা।
জয় হোক মানবতার......

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন