কাল কক্সবাজার এসেছি। ঈদের দিন ছিল। টিকিট পাচ্ছিলাম না। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অবশেষে আমিরাবাদের একটা গাড়ি পেলাম। গাড়িতে উঠলাম। এর মধ্যে বাবার ফোন এসেছে কয়েকবার। প্রতিবার এক প্রশ্ন। কতটুকু?
- এইতো গাড়ি ছেড়েছে।
- সাবধানে থাকিস। পৌঁছে ফোন করবি।
- টিক আছে, বাবা।
২০- ২৫ মিনিট পর বাবার ফোন আবারো।
সেই একি প্রশ্ন!
-কতটুকু?
আমিরাবাদ যেতে যেতে বাবার কল আসল প্রায় ৫-৬ বার।
আমিরাবাদ নেমে একটা গাড়িতে উঠলাম।
বাবাকে ফোন করে জানালাম ইউনিক সার্ভিসের টিকিট নিয়েছি।
কিছুদূর যেতে বাবার আবার ফোন।
আমার বাবা এরকমই। কোথাও গেলে উনি বাসাই থাকতে পারে না। একটু পর পর ফোন করে।
ছোট বেলা থেকে বাবার ভালবাসা মায়ের চেয়ে কম ছিল না। আমার জীবনে প্রথম শিক্ষক আমার বাবা। ছোট বেলায় তিনি আমাদের পড়াতেন। প্রথম স্কুলে যাওয়াও বাবার হাত ধরে।
ছোট বেলা থেকে এখনো পর্যন্ত আমাদের এমন কোন ইচ্ছা নেই যা বাবা পূরণ করেনি।
বাবা ছিল সরকারি চাকুরীজীবী। আয় ছিল সীমিত। তবুও সংসারে অভাব জিনিসটা কি আমাদের আজো বুঝতে দেয়নি।
আমার স্কুলের পাশে ছিল বাবার দোকান। প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে টাকার হানা দিতাম বাবার দোকানে। কোন দিন না বলেনি। মনে হয় আমার জন্য বাবার একটা রিজার্ভ ফান্ড আছে। আর আমি যাওয়া মাত্র ফান্ড থেকে টাকা তুলে দিত।
পূজোর সময় নিজের জন্য কিছু না কিনলেও আমাদের জন্য ঠিকি শপিং করতো বাবা। নিজে পুরানো জুতা পড়লেও আমাদের পূজোয় নতুন জুতা কিনে দিত।
অসুস্থ হলে সারা রাত না ঘুমিয়ে আমাদের দু'ভাইয়ের সেবা করত।
ছোট বেলা থকে আমি গরম সহ্য করতে পারতাম না। রাতে কারেন্ট চলে গেলে সারা রাত হাত পাখা দিয়ে আমাদের ঘুম পাড়াতো।
টাকা চাইলেই বলে, ওখানে শার্ট আছে। পকেট থেকে নিয়ে নেয়।
কখনো জানতে চাইনি, টাকা কেন লাগবে। আজো যদি টাকার দরকার হয়, বাবার পকেট আমার জন্য এটিএম মেশিন।
আজ বাবা দিবস। সকালে বাবাকে ফোন করেছি। জিজ্ঞাস করেছি- কেমন আছে, ওষুধ খেয়েছে কিনা, প্রেশার বেরেছে কিনা?
কিন্তু বাবাকে বলিনি তাঁকে কতটা ভালোবাসি। আমার বাবার একটা অংশই তো আমি। আমি আবার দেখতে, আচরনে অনেকটাই বাবার মতো। জীবনের পুরোটা জুড়েই তো বাবার ছায়া। খুব শান্ত, সরল একজন মানুষ আমার বাবা। নিজের মমতা, আবেগ যে খুব গোপন রাখেন তা না। বরং মাকে যতটা কাছে পেয়েছি বাবাকে তার চেয়ে কম পাই নি। পৃথিবীটাকে দেখতে শিখেছি বাবার হাত ধরে। বই পড়া, ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা সবই বাবার কাছ থেকে পাওয়া।
বাবা থাকুক ছায়া হয়ে, একাকী রোদে যেনো আমি পুড়ে না যাই। সব বাবাদের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। প্রত্যেক বাবা তাঁর প্রিয় সন্তানের মমতায় মমতা ছড়িয়ে থাকুক আজীবন।
- এইতো গাড়ি ছেড়েছে।
- সাবধানে থাকিস। পৌঁছে ফোন করবি।
- টিক আছে, বাবা।
২০- ২৫ মিনিট পর বাবার ফোন আবারো।
সেই একি প্রশ্ন!
-কতটুকু?
আমিরাবাদ যেতে যেতে বাবার কল আসল প্রায় ৫-৬ বার।
আমিরাবাদ নেমে একটা গাড়িতে উঠলাম।
বাবাকে ফোন করে জানালাম ইউনিক সার্ভিসের টিকিট নিয়েছি।
কিছুদূর যেতে বাবার আবার ফোন।
আমার বাবা এরকমই। কোথাও গেলে উনি বাসাই থাকতে পারে না। একটু পর পর ফোন করে।
ছোট বেলা থেকে বাবার ভালবাসা মায়ের চেয়ে কম ছিল না। আমার জীবনে প্রথম শিক্ষক আমার বাবা। ছোট বেলায় তিনি আমাদের পড়াতেন। প্রথম স্কুলে যাওয়াও বাবার হাত ধরে।
ছোট বেলা থেকে এখনো পর্যন্ত আমাদের এমন কোন ইচ্ছা নেই যা বাবা পূরণ করেনি।
বাবা ছিল সরকারি চাকুরীজীবী। আয় ছিল সীমিত। তবুও সংসারে অভাব জিনিসটা কি আমাদের আজো বুঝতে দেয়নি।
আমার স্কুলের পাশে ছিল বাবার দোকান। প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে টাকার হানা দিতাম বাবার দোকানে। কোন দিন না বলেনি। মনে হয় আমার জন্য বাবার একটা রিজার্ভ ফান্ড আছে। আর আমি যাওয়া মাত্র ফান্ড থেকে টাকা তুলে দিত।
পূজোর সময় নিজের জন্য কিছু না কিনলেও আমাদের জন্য ঠিকি শপিং করতো বাবা। নিজে পুরানো জুতা পড়লেও আমাদের পূজোয় নতুন জুতা কিনে দিত।
অসুস্থ হলে সারা রাত না ঘুমিয়ে আমাদের দু'ভাইয়ের সেবা করত।
ছোট বেলা থকে আমি গরম সহ্য করতে পারতাম না। রাতে কারেন্ট চলে গেলে সারা রাত হাত পাখা দিয়ে আমাদের ঘুম পাড়াতো।
টাকা চাইলেই বলে, ওখানে শার্ট আছে। পকেট থেকে নিয়ে নেয়।
কখনো জানতে চাইনি, টাকা কেন লাগবে। আজো যদি টাকার দরকার হয়, বাবার পকেট আমার জন্য এটিএম মেশিন।
আজ বাবা দিবস। সকালে বাবাকে ফোন করেছি। জিজ্ঞাস করেছি- কেমন আছে, ওষুধ খেয়েছে কিনা, প্রেশার বেরেছে কিনা?
কিন্তু বাবাকে বলিনি তাঁকে কতটা ভালোবাসি। আমার বাবার একটা অংশই তো আমি। আমি আবার দেখতে, আচরনে অনেকটাই বাবার মতো। জীবনের পুরোটা জুড়েই তো বাবার ছায়া। খুব শান্ত, সরল একজন মানুষ আমার বাবা। নিজের মমতা, আবেগ যে খুব গোপন রাখেন তা না। বরং মাকে যতটা কাছে পেয়েছি বাবাকে তার চেয়ে কম পাই নি। পৃথিবীটাকে দেখতে শিখেছি বাবার হাত ধরে। বই পড়া, ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা সবই বাবার কাছ থেকে পাওয়া।
বাবা থাকুক ছায়া হয়ে, একাকী রোদে যেনো আমি পুড়ে না যাই। সব বাবাদের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। প্রত্যেক বাবা তাঁর প্রিয় সন্তানের মমতায় মমতা ছড়িয়ে থাকুক আজীবন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন