অফিস
থেকে ফেরার পথে এক দাদার সাথে দেখা। কুশলাদি বিনিময়। অতপর কথাবলা। দাদা
বলল অনেকদিন তোকে দেখিনি। তবে ফেইসবুকে নিয়মিত থাকার কারনে তোদের খবরাখবর
পায়।
আচ্ছা তুইতো ইতিহাস নিয়ে ফেইসবুকে লিখিস। আমার গ্রাম সম্পর্কে লিখতে পারবি?
যদি তোর সময় হয় আমাদের গ্রাম খিলপাড়ার ইতিহাসটা নিয়ে একটু লিখিস।
চট্টগ্রামের ছোট্ট একটি গ্রাম হল খিলপাড়া। যার আদিনাম ছিল নবগ্রাম। এই গ্রামেই বাস করতেন দেয়াং রাজ্যের জমিদার মরণচাঁদ চৌধূরী। ১৬১৮ সালে ফাল্গুন মাসের কোন এক দিনে তিনি স্বপরিবারে চন্দ্রনাথ ধাম দর্শনের জন্য সিতাকুন্ড যান। সেখানে তার সাথে দেখা হয় যাদব রায় ও মাধবরায়। সেখানে তার যাদব রায়ের বিদ্যা ও ব্যাবহার ভাল লাগলে তিনি যাদবরায়কে তার নিজ কন্যা সম্প্রদান করেন। তাদের আনোয়ারা গ্রামে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
পরে তার ছোট ভাই মাধব রায় জানতে পারে যে, জমিদার মরণচাঁদ বৈদ্যবংশোদ্ভুত নয়। তিনি আইচ উপাধিদারী কায়স্থ বংশীয়। মাধব রায় এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ভ্রাতৃবধুকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে পালিয়ে যান। শোকাহত জমিদার তার মেয়ের স্মৃতি রক্ষার্থে নবগ্রামের নিকটে একটি পুনী খনন করে সেই পুনী পাড়ে কন্যার শবদাহ করে। পুনীটি "আইচের ঝিরপুনী" নামে পরিচিত। সেই পুনীটি আজো কালের সাক্ষী হয়ে খিলপাড়া গ্রামের দক্ষিনে, আনোয়ারা গ্রামের সামান্য দক্ষিণ পশ্চিমে এখনও টিকে আছে।
নবগ্রামের জমিদার মরণচাঁদ চৌধুরীর সাথে অত্যাচারী জমিদার মনুমিয়ার বিরোধ দেখা দিলে জমিদার মরণচাঁদ চৌধুরী স্বপরিবার নিজ বাসভূমি নবগ্রাম ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে তার প্রতিবেশীরা ও গ্রাম ত্যাগ করলে হিন্দু অধ্যশিত গ্রামটি হিন্দু শূন্য হয়ে পরে। সেই থেকে জনশূন্য এলাকাটি দীর্ঘদিন খিলপড়ে থাকার কারনে খিলপাড়া নামেই পরিচিত হয়ে উঠে। অত্যাচারী জমিদার মনুমিয়ার মৃত্যুর পর আইচ পরিবার সহ অন্যান্যরা পুনরায় বসতি শুরু করলে প্রাচীন নবগ্রাম নাম লোকমুখে হয়ে যাই খিল থেকে খিলপাড়া।
উনবিংশ শতকের শুরুতে এই গ্রামে গড়ে উঠেছিল স্বরস্বতী লাইব্রেরি। ১৯৭০ সাল পযর্ন্ত অস্থিত্ব ছিল এই লাইব্রেরীর।
এইগ্রামের খিলপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পূর্ব নাম ছিল "বিদ্যা সুন্দরী বিদ্যালয়"। ৪০ এর দশকে নগেন্দ্র চৌধুরী তার বাড়ির আঙ্গিনায় তার মায়ের নামে " বিদ্যা সুন্দরী বিদ্যালয়"টি চালু করেন। এই গ্রামের উন্নয়নে আইচ পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য।
আচ্ছা তুইতো ইতিহাস নিয়ে ফেইসবুকে লিখিস। আমার গ্রাম সম্পর্কে লিখতে পারবি?
যদি তোর সময় হয় আমাদের গ্রাম খিলপাড়ার ইতিহাসটা নিয়ে একটু লিখিস।
চট্টগ্রামের ছোট্ট একটি গ্রাম হল খিলপাড়া। যার আদিনাম ছিল নবগ্রাম। এই গ্রামেই বাস করতেন দেয়াং রাজ্যের জমিদার মরণচাঁদ চৌধূরী। ১৬১৮ সালে ফাল্গুন মাসের কোন এক দিনে তিনি স্বপরিবারে চন্দ্রনাথ ধাম দর্শনের জন্য সিতাকুন্ড যান। সেখানে তার সাথে দেখা হয় যাদব রায় ও মাধবরায়। সেখানে তার যাদব রায়ের বিদ্যা ও ব্যাবহার ভাল লাগলে তিনি যাদবরায়কে তার নিজ কন্যা সম্প্রদান করেন। তাদের আনোয়ারা গ্রামে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
পরে তার ছোট ভাই মাধব রায় জানতে পারে যে, জমিদার মরণচাঁদ বৈদ্যবংশোদ্ভুত নয়। তিনি আইচ উপাধিদারী কায়স্থ বংশীয়। মাধব রায় এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ভ্রাতৃবধুকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে পালিয়ে যান। শোকাহত জমিদার তার মেয়ের স্মৃতি রক্ষার্থে নবগ্রামের নিকটে একটি পুনী খনন করে সেই পুনী পাড়ে কন্যার শবদাহ করে। পুনীটি "আইচের ঝিরপুনী" নামে পরিচিত। সেই পুনীটি আজো কালের সাক্ষী হয়ে খিলপাড়া গ্রামের দক্ষিনে, আনোয়ারা গ্রামের সামান্য দক্ষিণ পশ্চিমে এখনও টিকে আছে।
নবগ্রামের জমিদার মরণচাঁদ চৌধুরীর সাথে অত্যাচারী জমিদার মনুমিয়ার বিরোধ দেখা দিলে জমিদার মরণচাঁদ চৌধুরী স্বপরিবার নিজ বাসভূমি নবগ্রাম ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে তার প্রতিবেশীরা ও গ্রাম ত্যাগ করলে হিন্দু অধ্যশিত গ্রামটি হিন্দু শূন্য হয়ে পরে। সেই থেকে জনশূন্য এলাকাটি দীর্ঘদিন খিলপড়ে থাকার কারনে খিলপাড়া নামেই পরিচিত হয়ে উঠে। অত্যাচারী জমিদার মনুমিয়ার মৃত্যুর পর আইচ পরিবার সহ অন্যান্যরা পুনরায় বসতি শুরু করলে প্রাচীন নবগ্রাম নাম লোকমুখে হয়ে যাই খিল থেকে খিলপাড়া।
উনবিংশ শতকের শুরুতে এই গ্রামে গড়ে উঠেছিল স্বরস্বতী লাইব্রেরি। ১৯৭০ সাল পযর্ন্ত অস্থিত্ব ছিল এই লাইব্রেরীর।
এইগ্রামের খিলপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পূর্ব নাম ছিল "বিদ্যা সুন্দরী বিদ্যালয়"। ৪০ এর দশকে নগেন্দ্র চৌধুরী তার বাড়ির আঙ্গিনায় তার মায়ের নামে " বিদ্যা সুন্দরী বিদ্যালয়"টি চালু করেন। এই গ্রামের উন্নয়নে আইচ পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন