একটি জাতি সমৃদ্ধ হয় শিক্ষা দ্বারা। যদি কোন জাতির অগ্রযাত্রা থামাতে চাও তাহলে সে জাতির শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করতে হবে। ঠিক যেমনটি করেছিল ব্রিটিশররা। ১৮৫৮ সালে Indian Education Act তৈরী করে। এই আইনের খসড়া তৈরী করেন Lord Macaulay. এই আইন তৈরী করার আগে তিনি সারা ভারতের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে সার্ভে করেন। যার আগেও অনেক ব্রিটিশরা ভারতের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে রিপোর্ট পাঠান।
এদের মধ্যে একজন ছিল Dr. G W Leitner ও আর একজন ছিল Sir Thomas Munro. তারা দুজন আলাদা আলাদা জাইগায় সার্ভে করেন।
১৮২৩ সালে Dr Leitner তার রিপোর্টএ উল্লেখ করে যে তখন উত্তর ভারতে শিক্ষা হার ছিল ৯৭% আর Sir Munro যিনি উল্লেখ করেন দক্ষিন ভারতের শিক্ষার হার ছিল ১০০%.
তখন Macaulay বলল, যদি আমরা ভারতকে গোলাম বানাতে চাই তাহলে তাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা ধংস করতে হবে আর সে জায়গা ইংলিশ শিক্ষার প্রচলন করেতে হবে। এতে করে এরা দেখতে ভারতীয় হলেও মনের দিক থেকে তারা হয়ে উঠবে ইংরেজ।
তাই Macaulay প্রথমে ভারতের সকল গুরুকুল অবৈধ ঘোষণা করেন। গুরুকুলের সাথে সংপৃক্ত সমস্তকিছু অবৈধ।এমনকি সংস্কৃত অবৈধ ঘোষণা করে।
এদেশের গুরুকুল গুলো খুজে খুজে ধংস করে। শিক্ষকদের মারধর করে জেলে প্রেরণ করে।
১৮৫০ সাল পর্যন্ত এদেশে গুরুকুল ছিল ৭.৩২ লক্ষ, আর গ্রাম ছিল ৭.৫ লক্ষ। অর্থাৎ প্রায় প্রতি গ্রামে একটি করে গুরুকুল ছিল। এসব গুরুকুল গুলোতে ১৮ টি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা দেওয়া হত। এসব গুরুকুল সরকার নয় বরঞ্চ সমাজ দ্বারা পরিচালিত হত।
এভাবে ইংরেজরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করে ইংরেজি শিক্ষাকে আইনগত শিক্ষা হিসেবে ঘোষণা করে।
ব্রিটিশরা কলকাতাই প্রথম কনভেন্ট স্কুল চালু করে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়, পরে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে।
এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে Macaulay তার বাবাকে একটা চিঠি লিখে। সেখানে তিনি লিখেন- "এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ছাত্রছাত্রী বের হবে তার দেখতে ভারতীয় হলে ও মনের দিকথেকে তারা হবে ইংরেজ। তারা জানবে না তাদের ইতিহাস জানতে পারবে না তাদের সংস্কৃতি, ভুলে যাবে তাদের পরম্পরা সম্পর্কে।
Macaulay এর লিখা চিঠির প্রমাণ পাওয়া যায় আজকের সমাজে। আমরা ইংরেজিকে নিজের মাতৃভাষা মনে করি। মনে করি ইংরেজি হল সমৃদ্ধ ভাষা। কিন্তু আসলে তা নয়।
যে ভাষাকে আমরা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে জানি। বিশ্বে মাত্র ১১টি দেশে এ ভাষার ব্যাবহার রয়েছে। শব্দগত দিক থেকে ইংরেজি গরিব ভাষা। ইংরেজদের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলও কিন্তু ইংরেজি ভাষার নয়। তাদের ভগবান যিশুখ্রিস্টও কিন্তু ইংরেজিতে কথা বলেন নি। যদি আমরা জাতিসংঘের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, সেখানে ও ইংরেজি নয় বরং ফ্রান্সিস ভাষা চলে।
যে সমাজ নিজের মাতৃভাষা থেকে কেটে যাই, সে সমাজের কখনো ভাল কিছু হয়না।
আসুন নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখি।
এদের মধ্যে একজন ছিল Dr. G W Leitner ও আর একজন ছিল Sir Thomas Munro. তারা দুজন আলাদা আলাদা জাইগায় সার্ভে করেন।
১৮২৩ সালে Dr Leitner তার রিপোর্টএ উল্লেখ করে যে তখন উত্তর ভারতে শিক্ষা হার ছিল ৯৭% আর Sir Munro যিনি উল্লেখ করেন দক্ষিন ভারতের শিক্ষার হার ছিল ১০০%.
তখন Macaulay বলল, যদি আমরা ভারতকে গোলাম বানাতে চাই তাহলে তাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা ধংস করতে হবে আর সে জায়গা ইংলিশ শিক্ষার প্রচলন করেতে হবে। এতে করে এরা দেখতে ভারতীয় হলেও মনের দিক থেকে তারা হয়ে উঠবে ইংরেজ।
তাই Macaulay প্রথমে ভারতের সকল গুরুকুল অবৈধ ঘোষণা করেন। গুরুকুলের সাথে সংপৃক্ত সমস্তকিছু অবৈধ।এমনকি সংস্কৃত অবৈধ ঘোষণা করে।
এদেশের গুরুকুল গুলো খুজে খুজে ধংস করে। শিক্ষকদের মারধর করে জেলে প্রেরণ করে।
১৮৫০ সাল পর্যন্ত এদেশে গুরুকুল ছিল ৭.৩২ লক্ষ, আর গ্রাম ছিল ৭.৫ লক্ষ। অর্থাৎ প্রায় প্রতি গ্রামে একটি করে গুরুকুল ছিল। এসব গুরুকুল গুলোতে ১৮ টি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা দেওয়া হত। এসব গুরুকুল সরকার নয় বরঞ্চ সমাজ দ্বারা পরিচালিত হত।
এভাবে ইংরেজরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস করে ইংরেজি শিক্ষাকে আইনগত শিক্ষা হিসেবে ঘোষণা করে।
ব্রিটিশরা কলকাতাই প্রথম কনভেন্ট স্কুল চালু করে। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়, পরে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে।
এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে Macaulay তার বাবাকে একটা চিঠি লিখে। সেখানে তিনি লিখেন- "এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ছাত্রছাত্রী বের হবে তার দেখতে ভারতীয় হলে ও মনের দিকথেকে তারা হবে ইংরেজ। তারা জানবে না তাদের ইতিহাস জানতে পারবে না তাদের সংস্কৃতি, ভুলে যাবে তাদের পরম্পরা সম্পর্কে।
Macaulay এর লিখা চিঠির প্রমাণ পাওয়া যায় আজকের সমাজে। আমরা ইংরেজিকে নিজের মাতৃভাষা মনে করি। মনে করি ইংরেজি হল সমৃদ্ধ ভাষা। কিন্তু আসলে তা নয়।
যে ভাষাকে আমরা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে জানি। বিশ্বে মাত্র ১১টি দেশে এ ভাষার ব্যাবহার রয়েছে। শব্দগত দিক থেকে ইংরেজি গরিব ভাষা। ইংরেজদের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেলও কিন্তু ইংরেজি ভাষার নয়। তাদের ভগবান যিশুখ্রিস্টও কিন্তু ইংরেজিতে কথা বলেন নি। যদি আমরা জাতিসংঘের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, সেখানে ও ইংরেজি নয় বরং ফ্রান্সিস ভাষা চলে।
যে সমাজ নিজের মাতৃভাষা থেকে কেটে যাই, সে সমাজের কখনো ভাল কিছু হয়না।
আসুন নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখি।
এক মত পোষণ করছি, কিন্তূ আমাদের প্রতাগত শিক্ষায় এখন ইংরেছি ডুকে গেছে, আমরা এইটাও বুঝতে চেষ্টা করি না, বিশ্বকবি তিনিও বাঙা, এবং তার কবিতা আর লেখা সব বাংলায়,নিজে থেকে আবার মাথা নাড়া দিয়ে উটতে হবে নিজের ভাষা সম্পর্কে জানতে হবে।
উত্তরমুছুন